বর্তমান সময়ে ক্রেডিট কার্ড বিশ্বব্যাপী একটি লেনদেনের মাধ্যম, অনেকে বুঝতে পারতেছেন না আপনারা কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিবেন, কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড আপনাদের জন্য সুবিধাজনক হবে। এই লেখাটিতে আমরা আলোচনা করব কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো এই সম্পর্কে।
ক্রেডিট কার্ড এর প্রয়োজনীয়তা ও জনপ্রিয়তা
আস্তে আস্তে মানুষ অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম এর সাথে জড়িয়ে পড়ছে তার সাথে সাথে ক্রেডিট কার্ড এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনারা অনলাইন ভিত্তিক লেনদেন করতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইন থেকেই বিভিন্ন কেনাকাটা বা হোটেলের রুম বুকিং, ভ্রমণ খরচ সহ ইত্যাদি সকল খরচই আপনারা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে শুধু দেশে না বিদেশেও আপনারা টাকা লেনদেন করতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ড আসার পর থেকে নগদ লেনদেন এর চাহিদা অনেকটা কমে গিয়েছে যার ফলে আমাদের নগদ লেনদেনের ঝুঁকিও কমে গিয়েছে। অনেকগুলো টাকার সাথে না নিয়ে আমরা শুধুমাত্র একটি কার্ড নিয়ে চলাচল করতে পারি, সেই কার্ডটি হলো ক্রেডিট কার্ড।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য, দেশের বাহিরের কোন অনলাইন শপিং থেকে শপিং করার মত সুবিধা। বা দেশের বাহিরে ও টাকা লেনদেনের সুবিধাসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমান সময়ে ক্রেডিট কার্ড অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কি কি ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হয়ে থাকে
সাধারনত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সকল ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড বহুল জনপ্রিয় একটি লেনদেনের মাধ্যম। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনারা দেশের বাহির থেকে কোন কেনাকাটা অথবা হোটেল বুকিং শহর যাবতীয় ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবেন।
নগদ ক্যাশ এর ঝামেলা কম থাকার কারণে ব্যবহারকারীরা ক্রেডিট কার্ড থেকে অনেক বেশি পছন্দ করে। কোন একটি নির্দিষ্ট ক্রেডিট কার্ড কে সবথেকে বেস্ট হিসেবে সিলেকশন করার কোনো মাধ্যম নেই। তবে আপনার কি কাজের জন্য ক্রেডিট কার্ড প্রয়োজন তার উপরে ভিত্তি করে আপনারা একটি কার্ড সিলেক্ট করতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ড সিলেক্ট করার পদ্ধতি
কোন একটি ক্রেডিট কার্ড কে বেস্ট হিসেবে সিলেক্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে নোটিশ করতে হবে আপনারা কি কাজের জন্য ক্রেডিট কার্ড নেয়ার চাচ্ছেন। এর উপরে ভিত্তি করে আপনারা যাচাই করতে পারবেন আপনার জন্য কোন ক্রেডিট কার্ড সবথেকে ভালো হবে।
১/ প্রথমে যাচাই করতে হবে আপনি কোন ধরনের কাজের জন্য ক্রেডিট কার্ড নিবেনঃ মনে করেন আপনি ট্রাভেলিং বা শপিং করার জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা চাচ্ছেন। অনেক সময় বিভিন্ন কেয়ার প্রোভাইডার বিভিন্ন কাজের জন্য ক্রেডিট কার্ডের উপরে অফার দিয়ে থাকেন তার জন্য আপনাকে প্রথমে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কি কাজের জন্য ক্রেডিট কার্ড নিবেন।
২/ আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ড গুলোর লিস্ট করুনঃ ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি মাথায় রেখে কার্ডের লিস্ট গুলো করতে হবে। ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় গ্রাহকদের যোগ্যতা তাদের স্যালারি এর উপরে ভিত্তি করে ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে। তাই আপনারা ক্রেডিট কার্ড গুলো লিস্ট করার ক্ষেত্রে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী লিস্ট করার চেষ্টা করবেন।
৩/ লিস্ট করার পরে লিস্ট এর মধ্য থেকে সবথেকে ভালো ক্রেডিট কার্ড যাচাই করতে হবেঃ উপরের নিয়মগুলো মেনে একটা লিস্ট তৈরি করার পরে ওই লিস্ট এর মধ্যে সবথেকে ভালো কে ধিক্কার দেই আপনাকে বাছাই করে নিতে হবে।
কার্ড বাছাই করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা খেয়াল করবেন ওই কার্ডের বাৎসরিক চার্জ, এবং অফার সমূহ ও ইন্টারেস্ট রেট এছাড়াও বাকি যেসকল চার্জ আছে এই সব গুলোর মধ্য থেকে যেই কাজটি আপনার কাছে বেস্ট মনে হবে আপনি সেই ক্রেডিট কার্ড নিতে পারেন। ক্রেডিট কার্ড সিলেকশন টা হবে সম্পূর্ণ আপনার নিজস্ব।
ধরন হিসেবে ক্রেডিট কার্ড এর ভাগ
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সাধারণত আমরা ক্রেডিট কার্ডকে ধরন হিসেবে দুই ভাগে বিভক্ত করতে পারি ১) ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক ক্রেডিট কার্ড। ২) সাধারণ ক্রেডিট কার্ড। নিচে আমরা এই দুই ধরনের ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আলাদা আলাদা আলোচনা করবো আশা করি নিচের লেখাগুলো আপনাদের জন্য অনেক উপকারী হবে।
ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক ক্রেডিট কার্ড গুলো
ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক ক্রেডিট কার্ড গুলোতে আপনারা সুদ মুক্ত ভাবে লেনদেন করতে পারবেন। অনেকেই আছেন যারা সুদ এর সাথে জড়িত থাকতে চান না তারা চাইলে ইসলামিক শরিয়া ভিত্তিক যে ক্রেডিট কার্ড গুলো আছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকিং গুলো আমরা পুরোপুরি সুদ মুক্ত বলতে পারিনা তবে তারা যথাসম্ভব ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক পরিচালনা করার চেষ্টা করে। অন্যান্য সাধারণ ব্যাংকিং এর থেকে ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর সিস্টেম একটু আলাদা। বর্তমান বাংলাদেশের ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক ক্রেডিট কার্ড গুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হল।
ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড
ইসলামী ব্যাংক সাধারণত শরিয়াভিত্তিক ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। আপনারা যারা সুদ মুক্ত ভাবে লেনদেন করবেন এবং একটি ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার চাচ্ছেন তারা ইসলামী ব্যাংকের “ইসলামিক ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড” নিতে পারেন।
অন্যান্য জনপ্রিয় ক্রেডিট কার্ড গুলো
আমরা পূর্বেই আলোচনা করেছি কিভাবে আপনারা নিজের জন্য বেস্ট ক্রেডিট কার্ড সিলেক্ট করবেন। চলুন এখন জেনে নেয়া যাক সাধারণত বাংলাদেশ যে সকল ক্রেডিট কার্ড গুলো জনপ্রিয় এবং জনপ্রিয় কিছু ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
-
DBBL Credit Card
-
EBL Credit Card
-
MTB Credit Card
-
City Bank Amex Credit Card
এছাড়াও বাংলাদেশে অনেক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান আছে যারা ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে। প্রথমে আপনারা সঠিকভাবে যাচাই করে তারপরে ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করবেন। এছাড়াও আপনারা ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে অবশ্যই ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে ক্রেডিট কার্ডের বাৎসরিক চার্জ এবং ইন্টারেস্ট সহ যত ধরনের চার্জ আছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিবেন।
কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো এটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয় তবে আমরা কিছুটা ধারণা দিয়েছি যাতে আপনারা খুব সহজেই আপনার জন্য বেস্ট ক্রেডিট কার্ডটি বাছাই করতে পারেন। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহের সাধারণ প্রক্রিয়া।
ছবি এডিট করার সেরা কিছু সফটওয়্যার
ক্রেডিট কার্ড কিভাবে সংগ্রহ করবেন
ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রথমে আপনারা যাচাই করে আপনার জন্য বেস্ট কার্ডটি সিলেক্ট করবেন এর পরে ওই কার্ডের প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে এর সকল সুযোগ সুবিধা গুলো জেনে নিবেন এবং তাদের মাধ্যমেই আপনারা ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অথবা যে সকল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান করে থাকে আপনারা চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের কাছে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। ক্রেডিট কার্ড রেডি হওয়ার পরে আপনারা উক্ত ব্যাংকে ভিজিট করে আপনার কার্ডটি সংগ্রহ করে নিবেন।
উপরে আমরা আলোচনা করেছি কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ভালো এই সম্পর্কে, এবং আপনাদের সুবিধার্থে ক্রেডিট কার্ড কিভাবে সংগ্রহ করবেন তা সহজ উপায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে যদি আপনারা বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদেরকে জানাতে পারেন। পরবর্তীতে অন্য আরেকটি আর্টিকেল এর মাধ্যমে এই সমস্যাটির সমাধান করে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।