রবিবার , ডিসেম্বর 22 2024
bnen
Breaking News

ছাত্র জীবন রচনা – সকল ক্লাসের জন্য

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের প্রায় সকল ক্লাসের বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ছাত্র জীবন রচনা রয়েছে। এবং এই রচনাটি পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, পরীক্ষায় আসার মতন। এই লেখাটিতে ছাত্র জীবন রচনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে।

এবং উদাহরণস্বরূপ আমরা একটি ছাত্র জীবন রচনা উল্লেখ করব। তোমরা চাইলে এই রচনাটি মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় লিখে দিতে পারো। অথবা এখান থেকে ধারণা নিয়ে তোমাদের মত করে সাজিয়ে রচনা লিখতে পারো। রচনা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভূমিকা উপসংহার এর মত কোটেশনগুলো দেয়ার চেষ্টা করবা।

ছাত্র জীবন রচনা

ছাত্র জীবনের দায়িত্ব-কর্তব্য ও ছাত্র জীবনের গুরুত্ব সম্পর্কে এই রচনাটিতে আলোচনা করা হবে। শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি রচনাটি তোমাদের কাছে ভালো লাগবে। তোমরা যেকোন ক্লাসেই এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারবে।

তবে তোমাদের পছন্দ অনুযায়ী আমাদের দেয়া রচনার সাথে নতুন তথ্য যোগ করতে পারো, যদি প্রয়োজন মনে করো। অথবা পরীক্ষায় এইভাবে লিখে দিয়ে আসলেও তোমরা সঠিক মার্ক পাবে। চলো আজকের রচনাটি শুরু করি।

ভূমিকাঃ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের সময়কে ছাত্র জীবন বলা হয়। ছাত্র জীবনকে স্বর্ণ সময়ের সাথে তুলনা করা যায়। মানুষ তার জীবনের প্রতিটি সময় ও প্রতিটি পদক্ষেপে শিক্ষা গ্রহণ করে তবে জন্মের পর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় যেই সময় ব্যয় করে তাকে ছাত্রজীবন বলে।

প্রতিটি মানুষের জন্য ছাত্র জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। আমাদের ভবিষ্যতের জীবনকে সুন্দর ও সুখময় করার জন্য যে জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন ও নিজেদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যতটুকু জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন তা আমরা ছাত্র জীবনে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জন করতে পারি।

নিজেকে ভালো মানুষ ও যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সময় ছাত্রজীবন। ছাত্রজীবনে অর্জিত জ্ঞান ও গুণ পরবর্তীতে কর্মময় জীবনকে সার্থক করে তোলে।

ছাত্রজীবনের প্রধান কর্তব্যঃ ছাত্রজীবনের প্রধান কর্তব্য হলো অধ্যায়ন করা। আমরা সকলেই “ছাত্রনং অধ্যায়নং তপঃ” এই কথাটির সাথে পরিচিত আছি। এর অর্থ হল – ছাত্রজীবনের মূল লক্ষ্য ও কর্তব্য অধ্যায়ন করা তথা পড়াশোনা করা।

তবে শুধুমাত্র পড়াশুনা করলেই হবে না, এর পাশাপাশি আরো অনেক দায়িত্ব রয়েছে। সহপাঠীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং শিক্ষক, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের সাথে ভালো ব্যবহার করা। ছোট বড় সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করা।

তার পাশাপাশি দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা ও ভালো কাজের চর্চা করা। বর্তমানের ছাত্ররাই ভবিষ্যতের দেশের কর্ণধার। তাই প্রত্যেকটি ছাত্রের দেশপ্রেম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং ভালো কাজের অভ্যাস গড়তে হবে।

নিজেদের গঠনঃ ছাত্র জীবনে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেদের গঠন করতে হবে। নিজেদের চরিত্র গঠন এবং সুস্বাস্থ্য গঠনের পাশাপাশি পরিশ্রমী ও অধ্যাবসায়ী হতে হবে। ছাত্র জীবনে সময়টা হল সবদিক থেকে নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার সময়। তাই এই সময়টিকে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেদের গঠনেও ব্যয় করতে হবে।

চরিত্র গঠনঃ চরিত্র মানুষের সর্ববৃহৎতম সম্পদ। তাই বলা হয় “চরিত্রহীন ব্যক্তির পশুর সমান” একজন মানুষ শুধুমাত্র শিক্ষিত হলেই তার চরিত্র ঠিক হবে না। তাই ছাত্র জীবনে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেদের চরিত্র গঠনে মনোযোগী হওয়া উচিত।

সকল ধরনের কু-চরিত্র যেমন মিথ্যাচার, অন্যের ক্ষতি করা, স্বার্থপরতা, সংকীর্ণতা, গীবত, চোগলখরি থেকে নিজেকে বিরত রাখার অভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি সু-চরিত্র যেমন সত্যবাদিতা, ধর্মপরায়ণতা, দেশপ্রেম, পরোপকারী, মহানুভবতা, আত্মসংযম এর মত ভালো কাজগুলোর চর্চা করতে হবে।

এই সকল গুণাবলী নিজেদের মধ্যে তৈরি করে একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। ছাত্রজীবনের সময়টাকে আমরা হেলায় নষ্ট না করে নিজেদের চরিত্র গঠনের দিকে মনোনিবেশ করব।

পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী হওয়াঃ আপনি যদি জীবনের সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই পরিশ্রমী ও অধ্যাবসায়ী হতে হবে। পরিশ্রম ছাড়া কখনোই জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেকটি ছাত্রকে পরিশ্রমী ও অধ্যাবসায়ী হতে হবে।

পৃথিবীতে আমরা যে সকল সফল মানুষকে দেখি তারা সকলেই তাদের পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের কারণে সফলতা অর্জন করতে পারেছে। তেমনি একজন ছাত্র তার কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সফলতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।

ছাত্র জীবনের অবসর সময় নষ্ট না করে নিজেদের সফলতার জন্য পরিশ্রম করা উত্তম। ছাত্র জীবনে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে, নিজেদের সফলতার জন্য এক ধাপ এগিয়ে রাখা সম্ভব।

পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনঃ ছাত্রজীবনের শিক্ষা সবথেকে বড় শিক্ষা। ছাত্র জীবনেই আমাদের শিখতে হবে পিতা-মাতার প্রতি কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয় এবং কিভাবে পিতা মাতাকে খুশি রাখতে হয়। সু-শিক্ষার অভাবে বর্তমানে অনেকেই পিতা মাতার প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালন করে না।

সুস্বাস্থ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য সুস্বাস্থ্যর দিকে নজর রাখতে হবে। প্রবাদ বাক্য আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে, মন প্রফুল্ল থাকলে খুব সহজেই পড়াশোনায় মনোযোগ বসে।

ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য স্বাস্থ্যচর্চা ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বিশেষ করে নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে ওঠা, ফজরের নামাজ আদায়, বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ এবং বিকেলে হাঁটাচলা করা, অতিরিক্ত রাত জায়গা থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি।

ছাত্রদের পড়াশোনায় মনোযোগ না বসার অন্যতম কারণ হলো স্বাস্থ্য ভালো না থাকা। যদি স্বাস্থ্য ভালো থাকে সেক্ষেত্রে পড়াশুনায় মনোযোগ বসবে এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব।

সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ ও খেলাধুলা করাঃ ছাত্রজীবনে পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। এবং ছাত্র থাকা অবস্থায়ই দেশপ্রেম ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

এর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে হবে। খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকে, যার ফলে দ্রুত পড়াশোনায় মনোযোগ বসে। তাই ছাত্র জীবনে পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ ও খেলাধুলা করতে হবে।

ছাত্রজীবনে শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধঃ শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ মানুষকে নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও ভালো মানুষ হতে শেখায়। একজন ভালো মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ। প্রাথমিক জ্ঞান লাভের পাশাপাশি ছাত্র জীবনে শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধের শিক্ষা লাভ করাটা অতি জরুরী।

মা-বাবা ও গুরুজনদের সম্মান এবং বন্ধুদের ভালোবাসা ও ছোটদের স্নেহ করা সবই শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধের মধ্যে। শিষ্টাচারের মাধ্যমে একজন মানুষের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। যার আচরণে সৌজন্যবোধ রয়েছে তাকে কোন বাধা সফলতা থেকে আলাদা করতে পারে না।

শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা শেখাঃ শিষ্টাচারের পাশাপাশি ছাত্র জীবনে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা শেখা অতি জরুরী। শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা শেখার মোক্ষম সময় ছাত্রজীবন। শৃঙ্খলা শিক্ষা করলে একজন ছাত্র কখনোই উশৃংখল তথা ভুল পথে নিজেদের জীবন নষ্ট করতে পারে না।

ছাত্রজীবনে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা না করলে পরবর্তীতে কর্মজীবনে এর খেসারত দিতে হবে। যেমন একজন ছাত্র যদি সঠিক সময়ে পড়া কমপ্লিট না করে কালকের জন্য ফেলে রাখে তাহলে ওই পড়াটা কখনোই সম্পন্ন হয় না। যার ফলশ্রুতিতে রেজাল্ট খারাপ হয়।

তেমনি প্রত্যেকটি কাজেই শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা থাকা দরকার। শৃংখল জীবন যাপনের মাধ্যমেই সফলতার শীর্ষে পৌঁছানো যায়। শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে সময়ের মূল্যায়ন দেওয়া অন্যতম। আপনি যদি সময়কে মূল্য না দিতে জানেন তাহলে কখনোই জীবনে সফল হতে পারবেন না।

ছাত্রজীবনে সামাজিক নেতৃত্বঃ ছাত্র জীবনে নেতৃত্ব বলতে বুঝায় ভালো কাজে নেতৃত্ব, সামাজিক উন্নয়ন এর নেতৃত্ব, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নেতৃত্ব প্রদান এবং ধর্মের উপর আঘাত হানলে, শক্ত হাতে তার প্রতিবাদ করা। একজন ছাত্রের জন্য এটি দায়িত্ব ও কর্তব্য।

যেহেতু এখনকার ছাত্ররাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, সেহেতু ছাত্র থাকা অবস্থায় সামাজিক নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উপস্থিত হতে হবে এবং সফলভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

সঠিক বন্ধু নির্বাচনের যোগ্যতাঃ

বন্ধু তোমার খেলার সাথী, বন্ধু তোমার কর্মের সাথী।

বন্ধু তোমার ভালো কাজের সাথী এবং ওই বন্ধুই তোমার খারাপ কাজের সাথী।

বন্ধু তোমাকে ভালো পথ দেখায় এবং বন্ধুই তোমাকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়।

তাই শিক্ষাজীবনে বা ছাত্র জীবনে সঠিক বন্ধু নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রজীবনে ভালো বন্ধু নির্বাচন করতে না পারলে পরবর্তীতে আমাদের বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। যেমন খারাপ বন্ধুদের সাথে মিশলে বিভিন্ন খারাপ আড্ডায় জড়িয়ে যাওয়া হয়, ক্লাস ফাঁকি দেওয়া হয়, আমাদের দ্বারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষতিসাধন হয়।

ঠিক তেমনি ভালো বন্ধুদের সাথে মিশলে আমরা সমাজের বিভিন্ন উন্নতি সাধন করতে পারি এবং নিজেদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারি, পাশাপাশি আমাদের ভবিষ্যতের কর্মময় জীবনের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি।

তুমি যদি খারাপ বন্ধুদের সাথে মিশো তাহলে অবশ্যই তোমার চরিত্র ওই বন্ধুদের মত খারাপ হবে। তাইতো বলা হয় ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে’। তাই ছাত্র জীবনটা হলো সঠিক বন্ধু নির্বাচনের মোক্ষম সময়। তুমি যদি এই সময়ে ভালো বন্ধু নির্বাচন করতে না পারো তাহলে পরবর্তীতে পস্তাতে হবে।

যে তোমাকে খারাপ কাজ করতে বলে এবং বিভিন্ন খারাপ কাজ করার পরামর্শ দেয় সে কখনোই তোমার ভালো বন্ধু হতে পারেনা। বরং ভালো বন্ধু তো সেই যে তোমার বিপদে আপদে পাশে থাকে এবং ভালো কাজের উপদেশ দেয়। পড়াশোনার ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ের সহযোগিতা করে।

খারাপ কাজ থেকে নিজেদের রক্ষাঃ বর্তমানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা খারাপ কাজের সাথে লিপ্ত হয়, খারাপ বন্ধুদের আড্ডায় বসে। তাইতো আমরা প্রথমেই আলোচনা করেছি সঠিক বন্ধু নির্বাচন সম্পর্কে। নিজেকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য অবশ্যই সঠিক বন্ধু নির্বাচন করতে হবে।

পাশাপাশি তোমাকেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আমার দ্বারা কোন খারাপ কাজ সংগঠিত হবে না। তোমরা সব সময় চেষ্টা করবা ক্লাসের ভালো শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে এবং শিক্ষকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে। তাহলে বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারবা।

স্বদেশপ্রেমঃ স্বদেশপ্রেম হলো একটি নিজস্ব আপেক্ষিক বিষয়। কাউকে জোর করে স্বদেশপ্রেমে বাধ্য করা যায় না এবং স্বদেশপ্রেম শেখানো যায় না। স্বদেশপ্রেম বলতে বুঝায় দেশের প্রতি ও সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনে একাগ্র হওয়া।

তরুণরা চাইলে যেকোনো কিছুই করা সম্ভব। তাই ছাত্র জীবন থেকেই আমাদের দেশের প্রতি ও আমাদের সমাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। সমাজের যত কুসংস্কার, দুর্নীতি, স্বৈরাচার এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং শক্ত হাতে প্রতিবাদ করতে হবে।

ছাত্ররাই হচ্ছে ভবিষ্যতের দেশ পরিচালনার কর্ণধার। তাই ছাত্র জীবন থেকেই কোন ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে শক্ত হাতে প্রতিবাদ করতে হবে। এছাড়াও দেশের যেকোন বিপদে নিজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ও বন্ধুদের আহবান করে তাদের নিয়ে বিপদের মোকাবেলা করতে হবে।

উপসংহারঃ মানব জীবনে ছাত্র জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই সময়টাকে আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারলে পরবর্তীতে কর্মজীবনে পস্তাতে হবে। এই মধুর সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে পরবর্তী জীবনে সফলতার একধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

ছাত্র জীবনে আমাদের পড়ালেখার পাশাপাশি সঠিক বন্ধু নির্বাচন, স্বদেশ প্রেম, শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা শেখা, শিষ্টাচার শেখা, পরিশ্রমী ও অধ্যাবসায়ী হওয়া, নিজেদের চরিত্র গঠন ও সুস্বাস্থ্য গঠনে মনোযোগী হওয়া, সামাজিক নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন ও পিতা-মাতা, শিক্ষকদের প্রতি দায়িত্ব পালন শেখা গুরু দায়িত্ব।

আমাদের শেষকথা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা ছাত্র জীবন রচনা এখানেই শেষ করছি। তোমাদের কাছে রচনাটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবে। তোমাদের পাঠ্য বইয়ের চাহিদা অনুযায়ী এখান থেকে নিজেদের মত কাস্টমাইজ করে রচনাটি লিখতে পারো।

দেখতে পারেনঃ শিক্ষার্থীদের জন্য ২টি সুখবর।

অথবা যদি সম্ভব হয় তাহলে পুরো রচনাটি পরীক্ষায় লিখলে আশা করি সম্পূর্ণ মার্ক পাবা। তোমাদের ধারণা অনুযায়ী এখান থেকে যদি কোন কিছু পরিবর্তন করা দরকার হয় এবং কোন কিছু যুক্ত করা দরকার হয় অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারো।

About Sharo Place Desk

দীর্ঘদিন যাবত টেকনোলজি রিলেটেড কার্যক্রমের সাথে জড়িত আছি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে এই ওয়েবসাইটটিতে টেকনোলজি, অনলাইন ইনকাম, টিপস এবং ট্রিকস, ই সার্ভিস, রিভিউ ও ব্যবসা রিলেটেড আর্টিকেল লেখালেখি করি।

Check Also

2022 সালের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট

2023 সালের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার নিয়ম

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা ২৮ই জুলাই এসএসসি পরীক্ষা ২০২৩ রেজাল্ট প্রকাশিত হবে। 2023 সালের এসএসসি পরীক্ষার …

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।