প্রিয় এইচএসসি ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, তোমাদের জন্য আছে বিশাল সুখবর। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশাল সুখবর জানিয়েছে। তোমরা যারা এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছ, তোমাদের অবশ্যই এই তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় তোমাদের জন্য দারুন একটি সুখবর জানিয়েছে। ইতিমধ্যে তোমাদের মেইন সাবজেক্টের পরীক্ষাগুলো শেষ, এবং গ্রুপ সাবজেক্টের পরীক্ষাগুলো প্রায় শেষের পথে। তোমরা নিশ্চয়ই অবগত আছো নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ এর রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।
তার আগেই দারুন সুখবর জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মূলত পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখার প্রসঙ্গে এবং HSC পরীক্ষা ২০২৩ সম্পর্কে এই সুখবরটি।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশাল সুখবর
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে তোমাদের পরীক্ষার খাতাগুলো শিক্ষকদের কাছে ট্রান্সফার করা হয়েছে। এবং তারা খাতা গুলো পর্যালোচনা করে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নাম্বার প্রদান করেছে। খাতা দেখার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন।
যদি কোন শিক্ষার্থী দুই এক নাম্বারের জন্য রেজাল্ট খারাপ করতে বসে তথা ফেল করতে বসে, ওই শিক্ষার্থী যদি খাতায় প্রশ্নের উত্তর লিখে, তাহলে শিক্ষকরা তাকে মার্ক দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। প্রশ্নের উত্তর যদি ভুলও থাকে তাহলেও মার্ক দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
তথা তোমরা নিশ্চিত থাকতে পারো দুই এক নাম্বারের জন্য কেউ এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩-এ ফেল করবা না। পরীক্ষায় পাশের হার স্বাভাবিক রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিভাবে খাতা দেখা হচ্ছে এই সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন – আমরা সকল শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এটা নিশ্চয়ই এইচএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৩ ব্যাচের জন্য বিশাল একটি সুখবর। তোমরা যদি মনে কর, তোমাদের কোন সাবজেক্টের পরীক্ষা একটু খারাপ হয়েছে। তথা ২-১ মার্কের জন্য পাস করতে কষ্ট হতে পারে। তাহলে চিন্তার কারণ নেই! কেননা তোমরা ইতিমধ্যেই সুখবর সম্পর্কে জেনে গিয়েছো।
ওইখানের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আমরা যেভাবে ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করতেছি আশা করি সকল শিক্ষকরা একইভাবে ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করবে। মূলত পাসের হার স্বাভাবিক রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই চমৎকার সিদ্ধান্ত।
জানতে পারেনঃ শিক্ষার্থীদের জন্য ২টি সুখবর এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ নিয়ে।
এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে কথা
এই প্রসঙ্গে আরো বলা হয়েছে অন্যান্য সকল বছরের তুলনায় এই বছরের প্রশ্ন অনেক সহজ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য কিছু কিছু বোর্ডের দু একটা সাবজেক্টের প্রশ্ন একটু কঠিন করা হয়েছে, তবে সিলেবাসের মধ্যে থেকে।
শিক্ষার্থীরা যদি সঠিকভাবে ক্লাসে পাঠদান করে থাকেন এবং বই সম্পর্কে সামান্য ধারনা রাখেন তাহলে এই সকল প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবে। এছাড়াও এবছরের পরীক্ষায় হলে গার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীদের দারুন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে আরো সুযোগ সুবিধা প্রদানের চেষ্টা করব। যদি কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় CQ (সৃজনশীল প্রশ্ন) ঠিকভাবে লিখে এবং MCQ (বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর) দু এক মার্কের কারণে ফেল করতে বসে তাহলে, CQ থেকে মার্ক দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়া হবে।
একইভাবে কোন পরীক্ষার্থী যদি MCQ ঠিকভাবে লিখে এবং CQ তে একটু খারাপ লিখে তাহলে পাস করিয়ে দেওয়া হবে। তথা খাতায় যদি কোন শিক্ষার্থী ভালোভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকে তাহলে সে পাশ করবে। যদি প্রশ্নের উত্তর ভুল হয় সেক্ষেত্রেও, যথা সম্ভব মার্ক দেওয়ার চেষ্টা করবে।
কর্মকর্তারা বলেন – তবে এখন আমরা কোন কিছু সঠিকভাবে বলতে পারছি না। ফলাফল আমাদের হাতে আসলে সঠিক ভাবে জানাতে পারবো।
নিশ্চয়ই এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশাল সুখবর এটা। প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, তোমাদের রেজাল্ট নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। শুধুমাত্র ভালোভাবে পরীক্ষার খাতায় প্রশ্নের উত্তর গুলো লিখে আসলে, সামান্য ভুল হলেও পাস করিয়ে দেওয়া হবে।
শেষকথা
তবে যে সকল শিক্ষার্থীরা খাতায় কোন ধরনের প্রশ্নের উত্তর লিখেনি এবং উত্তর লিখলেও সব ভুল লিখেছে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। কেননা এই সুখবরটি শুধুমাত্র যে সকল শিক্ষার্থীরা অল্প মার্কের জন্য খারাপ রেজাল্ট করতে যাচ্ছে, তাদের জন্য।
তুমি যদি এইচএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী হয়ে থাকো তাহলে এই সুখবরটি তোমার কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবে। পরবর্তী আপডেটগুলো পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকবে।