বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে অনেক লোক পাড়ি জমায়। কিন্তু কিছুদিন আগে সৌদি আরবের ভিসা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যার কারণে অনেকে আশঙ্কার ভিতরে ছিলেন। সৌদি আরবের নতুন ভিসা কবে খুলবে সেই সম্পর্কে এই লেখাটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সৌদি আরবের সর্বশেষ ভিসার আপডেট
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি কর্মী নিয়োগ দেয় সৌদি আরব। বাংলাদেশের অনেক মানুষ প্রতিবছর জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের ভাগ্যের সন্ধানে সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। অল্পশিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সৌদিআরব পাড়ি জমায়।
ভিসা সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সকলের জানা আছে। ভিসা হলো এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণের অনুমতি পত্র। ভিসা ছাড়া আমরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে কোন ভাবে ভ্রমণ করতে পারবোনা। আর আপনি যদি কোনভাবে ভ্রমণ করেন সেক্ষেত্রে এটা অবৈধ বলে গণ্য হবে এবং আপনার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরবে পাড়ি জমাতে চাইছেন তাদের জন্য একটি সুখবরঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে খুলে দেওয়া হবে আবারও কর্মী ভিসা। আপনারা যারা কাজের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার চাচ্ছেন তারা প্রস্তুত হতে পারেন। তবে কাজের ভিসা সম্পূর্ণ নির্ভর করে দেশের পরিস্থিতি এবং দেশের কর্ম পরিস্থিতির উপরে।
সৌদি আরবে কাজের ভিসা যেকোনো সময় বন্ধ বা চালু হতে পারে। তাই এটা কতদিন চালু থাকবে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে বর্তমানে সৌদি আরবে কাজের সংকট আছে! যারা সৌদি আরব কাজের জন্য ভ্রমণ করা চাচ্ছেন তারা একটু ভালভাবে এ সম্পর্কে জেনে নিবেন।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টঃ অনলাইন থেকে জেনে নিন আপনার বয়স – বয়স ক্যালকুলেটর।
সৌদি আরবের নতুন ভিসা কবে খুলবে
বর্তমানে সৌদি আরবের সকল নূতন ভিসার কার্যক্রম চালু হয়েছে। করোনার কারণে অনেকদিন সৌদির ভিসা বন্ধ থাকার পরে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে পুনরায় সৌদি আরবের ভিসা চালু করা হয়। অবশ্যই সৌদি ভ্রমণ করার ৭২ ঘণ্টা আগে পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।
যদি পিসিআর টেস্টে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তখন আপনারা সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার অনুমতি পাবেন। বর্তমানে সৌদি আরবের অনেক ভিসা চালু আছে তাই আপনারা যারা সৌদি যাওয়ার জন্য ভাবতেছেন তারা যেতে পারেন। তবে সৌদি ভ্রমণের আগে অবশ্যই একটু এই বিষয় নিয়ে এম্বাসিতে কথা বলে নিবেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে করোনার কারণে সৌদি আরবের ভিসা বন্ধের ঘোষণা করা হয়। এবং ২০২১ সালের আগস্ট মাসে পুনরায় সৌদি আরবের ভিসা চালু করা হয় তবে সৌদিআরব ভ্রমণের আগে অবশ্যই আপনাকে পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব ভ্রমণ করতে হবে।
সৌদি আরবের কাজের ভিসার নতুন আপডেট
সম্প্রতি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে অনেকগুলো কাজের ভিসা চালু আছে। তবে কতদিন চালু থাকবে এ সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় কেননা এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে দেশের অর্থ পরিস্থিতি এবং কর্ম পরিস্থিতির উপরে।
আপনি যদি মনে করেন সৌদি আরবে কাজের ভিসা সব সময় সমান ভাবে চালু থাকবে তাহলে এটা ভুল। সবসময় সৌদি আরবে কাজের চাহিদা সবার থাকে না। এছাড়াও দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সব দিক থেকে বিবেচনা করে সবসময় সৌদি আরবের কাজের ভিসা পাওয়া যায় না।
কিন্তু বর্তমানে সৌদি আরবের সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে যার কারণে বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে অনেক কাজের ভিসা চালু আছে। এছাড়াও সৌদি আরবের অনেক বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিচ্ছে।
আপনারা চাইলে এই সকল কোম্পানিতে কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন তবে অবশ্যই দালাল থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরব ভ্রমণ করে পরবর্তীতে আবার দেশে ফিরে আসতেছে।
সৌদি আরবের নতুন ভিসার খবর
বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের নতুন ভিসার খবর সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হবে সৌদি আরবের নতুন ভিসার খবর খুব ভালো। করোনার প্রভাব একটু কমার পর থেকে ২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে পুনরায় সৌদি আরবের সকল ভিসা চালু করা হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকার কারণে বর্তমানে সৌদি আরবের সকল ভিসা চালু আছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক সৌদি আরবে পাড়ি জমায় তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবথেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিকরা বেশি কাজ করে।
আশা করি সৌদি আরবের নতুন ভিসা কবে খুলবে এবং সৌদি আরবের নতুন ভিসার খবর সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। সৌদি আরবের সকল ভিসা চালু থাকার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরবে ভ্রমণ করার চাচ্ছেন তারা দ্রুত সৌদির ভিসা সংগ্রহ করে রাখুন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার নতুন আপডেট
দীর্ঘদিন সৌদি আরবের সকল ভিসা বন্ধ থাকার পরে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে পূর্বের মত সকল ভিসা চালু করে দেওয়া হয়। একইসাথে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চালু করা হয়। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে সৌদি আরবের সকল কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে পুনরায় আবার বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদির কোম্পানিগুলো। যারা কোম্পানি হিসেবে সৌদি আরবে ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন তারা দ্রুত ভিসা সংগ্রহ করে নিবেন।
আর অবশ্যই বিচার সংগ্রহের ক্ষেত্রে দালাল থেকে দূরে থাকবে। কেননা দালালরা আপনার থেকে টাকা নিয়ে অন্য একটি ভিসা ধরিয়ে দিয়েছে যা পরবর্তীতে আপনার জন্য অনেক দুঃখজনক হতে পারে। তাই সব সময় সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন যথাসম্ভব দালাল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছে কাজের জন্য। সাধারণত প্রবাসীদের জন্য সৌদি আরবের সবথেকে বেশি কাজ হল শ্রমিক। সৌদি আরবের সবথেকে শ্রমিক ভিসা বেশি পাওয়া যায়। অতঃপর বলা যায় সৌদি আরবের সবথেকে বেশি কাজের চাহিদা হল শ্রমিক।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সৌদি আরবের বড় বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক নিয়োগ দেয়। তবে কোম্পানি ভিসা সৌদি আরব যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে একটু যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে, যতসম্ভব দালালদের থেকে দূরে থাকতে হবে।
অনেক কুচক্রী সংগঠন বা দালাল আছে যারা বাংলাদেশ থেকে বলে দেয় কোম্পানি ভিসা কিন্তু পরবর্তীতে অন্য কোন ভিসা ধরিয়ে দেয়। তাই সৌদির ভিসা সংগ্রহ করার আগে সবথেকে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ভালো কোন ভিসা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টঃ