প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা তোমরা যারা এই বছর ২০২৩ ব্যাচে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছো, ইতিমধ্যে তোমাদের বাংলা ও ইংরেজি খাতা দেখা শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষকরা নাম্বারগুলো বোর্ডের কাছে পাঠাচ্ছে। খাতা দেখে নিয়ে শিক্ষকরা জানালেন এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
প্রথমদিকে প্রাইমারি এই সাবজেক্টগুলোর পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পরীক্ষার পরে আমার অনেক শিক্ষার্থী বন্ধুরা চিন্তায় ছিল তাদের বাংলা ও ইংরেজি খাতায় মানবন্টন কেমন হবে। কেননা এই সকল সাবজেক্টের প্রশ্নগুলো একটু হার্ড হয়েছে। তোমাদের চিন্তার কারণ নেই, এই লেখাটি সম্পূর্ণ দেখতে থাকো।
এইচএসসি ব্যাচের বাংলা ও ইংরেজি খাতা দেখা শেষ
২০২৩ ব্যাচের এইচএসসি পরীক্ষা গত ১৭ই আগস্ট শুরু হয়েছে। ১৭ই আগস্ট প্রথম পরীক্ষাটি ছিল বাংলা প্রথম পত্র এবং দ্বিতীয় পরীক্ষাটি ছিল ২০ই আগস্ট রবিবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র। তৃতীয় পরীক্ষাটি ছিল ২২ই আগস্ট মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথম পত্র। চতুর্থ পরীক্ষাটি ছিল ২৪ই আগস্ট বৃহস্পতিবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র।
ইতিমধ্যে এই সকল সাবজেক্ট গুলোর খাতা দেখা কমপ্লিট। শিক্ষকরা সকল মানবন্টন গুলো বোর্ডের কাছে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত। কিভাবে খাতা দেখা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের কিভাবে নাম্বার প্রদান করা হয়েছে এই সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষকরা বলেন,
এ বছরে অনেক শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করেছে। এছাড়াও যারা খাতায় ভালোভাবে লিখেছে ভুল হলেও প্রশ্ন লিখে দিয়েছে আমরা তাদের যথা সম্ভব নাম্বার দেয়ার চেষ্টা করেছি। এই বছর ফেলের হার খুবই কম হবে আশা করা যায়।
এইচএসসি খাতা দেখা হয়েছে কেমন
শিক্ষকরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানায় – আমরা ইংরেজি প্রথম পত্র এবং দ্বিতীয় পত্র ও বাংলা দ্বিতীয় পত্র সাবজেক্টের ১০০ মার্কের খাতা পেয়েছি। ১০০ নাম্বারের খাতায় যথ সম্ভব ৩৩ নাম্বার দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
অনেক শিক্ষার্থী এই সকল সাবজেক্টে পাশ করে গিয়েছে। যেসকল শিক্ষার্থী খাতায় লিখেছে এবং তাদের খাতায় মার্ক দেয়ার মতন অপশন ছিল, তাদের সকলকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই সাবজেক্ট গুলোতে পাস করার অধিকার সম্পূর্ণ শিক্ষকদের হাতে থাকে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে যথা সম্ভব শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
যারা দু এক নাম্বারের জন্য ফেল করার পরিস্থিতিতে পড়েছিল তাদেরকে পর্যাপ্ত নাম্বার দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা একটি দুঃসংবাদ জানিয়েছে, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় ফেলের সংখ্যা তুলনামূলক একটু বেশি।
যেহেতু ইংরেজি প্রথম পত্র ও ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র আলাদা সাবজেক্ট পরীক্ষা হয়েছে এবং আলাদাভাবে খাতা দেখা হবে তাই শিক্ষকরা আশা করে ১ম পত্র থেকে পর্যাপ্ত মার্ক দিয়ে – প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলিয়ে মানবন্টন হাওয়ায় শিক্ষার্থীরা পাস করবে।
সাধারণত ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার মানবন্টন একসাথে হয়। এই দুটি সাবজেক্ট মিলিয়ে মোট ৬৬ নাম্বার পেলে পাস হবে। এক্ষেত্রে যদি কোন শিক্ষার্থী প্রথম পত্রে ৫০ পায় এবং দ্বিতীয় পত্র ১৬ পায়, সে ক্ষেত্রেও ওই শিক্ষার্থী পাস করবে।
বাংলা সাবজেক্টগুলোর বিষয়ে শিক্ষকরা জানান, বাংলা প্রথম পত্র ৭০ মার্কের খাতা পেয়েছি। কেননা বাংলা প্রথম পত্রের মানবন্টন ৩০ মার্ক এমসিকিউ এবং ৭০ মার্ক সিকিউ। তাই শিক্ষকরা শুধুমাত্র ৭০ মার্ক সিকিউ এর খাতা পেয়েছে।
শিক্ষকরা বলেছেন বাংলা প্রথম পত্র খাতা একটু অন্যভাবে দেখেছি। কেননা এই সাবজেক্টে অনেক শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি প্রশ্নের আনসার করতে পারেনি। যার কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে পাশ দেওয়া আমাদের জন্য কষ্টকর হয়েছে, তবুও যথা সম্ভব শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
তবে এমসিকিউ প্রশ্ন শিক্ষকদের হাতে নেই। MCQ তে যদি কোন শিক্ষার্থী ১০ মার্কের কম পায় তাহলে সে ফেল করতে পারে। শিক্ষকরা জানান বাংলা প্রথম পত্র CQ তে পাস করতে ২৩ মার্ক প্রয়োজন, আমরা তাদের চেষ্টা করেছি।
তবে অনেক শিক্ষার্থী খাতায় কিছুই লেখেনি, তাদের পাশ করিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। গ্রুপ সাবজেক্টগুলোতে শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট কেমন করেছে এই বিষয়টি খাতাগুলো দেখার পরে বুঝা যাবে।
শেষকথা
২০২৩ এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজি খাতা দেখা শেষ ইতিমধ্যে, তোমাদের চিন্তার কারণ নেই। শিক্ষকদের ভাষ্যমতে, এই সিজনে অনেক শিক্ষার্থী নির্দ্বিধায় পাশ করে যাবে। তোমরা যদি দু এক মার্কের জন্য রেজাল্ট খারাপ করতে বসো তা শিক্ষকরা পাস করিয়ে দিবে।