প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম ডাউনলোড এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই লেখাটিতে দেওয়া আছে এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রাহোনে কত পারসেন্ট(%) সুদ প্রদান করতে হবে এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০১০ সালে এবং এই ব্যাংকটি চালু করা হয় ২০১১ সালের ২০শে এপ্রিল। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই ব্যাংকটির যাত্রা শুরু হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম এবং এই ব্যাংক সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানা জরুরি।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন
বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে খুব সহজেই লোন গ্রহণ করতে পারবেন। এই ব্যাংকটি মূলত প্রবাসীদের আর্থিক সুবিধার জন্য কাজ করে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন খাতে প্রবাসীদের লোন প্রদান করে। বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণত পাঁচটি খাতে লোন প্রদান করে সেগুলো হলঃ
- অভিবাসন লোন
- পূর্ণবাসন লোন
- বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন
- বিশেষ পূর্ণবাসন লোন
- আত্মকর্মসংস্থান লোন
বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে এই সকল খাতে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। অন্য সকল ব্যাংকের মতো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে একই পদ্ধতিতে লোন গ্রহন করতে পারবেন। এই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে। কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার নিয়ম ২০২৩
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম ডাউনলোড করতে “PDF DOWNLOAD” এই লেখাটির উপরে ক্লিক করুন। উক্ত ফর্মটি কম্পিউটার দোকান থেকে প্রিন্ট করে যথাযথভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় জমা দিন।
আপনার নিকটস্ত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর শাখা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন। উক্ত ফর্মটি ডাউনলোড করে যথাযথ ভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করে নিকটস্থ শাখায় জমা দিন। অথবা সরাসরি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে গিয়ে উক্ত ফর্মটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিব
অনেকে জানতে চান প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিব? বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য উপরে দেওয়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম ডাউনলোড করে যথাযথভাবে ফরমটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করে ব্যাংকে জমা দিন।
অথবা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে account করে উক্ত ফর্মটি সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও সরাসরি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং আবেদন করার ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে লোনের টাকা পেয়ে যাবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ২ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে। তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিভিন্ন খাতে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোন খাতে কত টাকা ঋণ দেয় সে সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলো।
অভিবাসন ঋণ: সাধারণত প্রবাসীরা অভিবাসন ঋণ গ্রহণ করতে পারবে ৩ লক্ষ টাকা। এবং এর মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ ৩ বছর। এবং রি-এন্টি দারি ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা লোন পাবেন ২ বছরের জন্য।
পূর্ণবাসন ঋণ: এই ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ পেতে পারেন তবে বেশ কিছু শর্তাবলী মান্য করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো জামানত। জামানত ব্যতীত সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা লোন গ্রহণ করতে পারবেন। এই ঋণ পরিশোধের সময় সর্বোচ্চ ১০ বছর।
বঙ্গবন্ধ অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন: পূর্ণবাসন ঋণের মত এই ঋণ সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদী ৫০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন। ৩ লক্ষ টাকার বেশি লোন গ্রহনের ক্ষেত্রে কিছু শর্তাবলী ও জামানত রাখতে হবে।
বিশেষ পূর্ণবাসন ঋণ: বিশেষ পূর্ণবাসন ঋণের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাবে পাঁচজনের জন্য ৫ লক্ষ টাকা লোন গ্রহণ সম্ভব। এবং একক ঋণের ক্ষেত্রেও ৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ সম্ভব। বিশেষ পূর্ণবাসন ঋণ এর মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর।
আত্মকর্মসংস্থান ঋণ: এই ঋণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সুবিধা কথা উল্লেখ করতে গেলে বিশেষ করে প্রবাসীদের জন্য এই লোন অনেকটা সুবিধা জনক। কোন ব্যক্তি প্রবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা কোন কারনে প্রবাস থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরলে এই লোন গ্রহন করে পুনরায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পাবে।
পূর্বে প্রবাসে যাওয়ার জন্য টাকা লোন পাওয়া যেত না কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের একান্ত উদ্যোগে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক চালু হওয়ার পর থেকে যেকোন প্রবাসী নির্ধারিত শর্তগুলো পূরণ করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট এর লোন গ্রহন করতে পারবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার সর্বোচ্চ ৯% এবং সর্বনিম্ন ৪%, এই ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার ক্ষেত্রে আপনি কোন খাতের লোন নিচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করবে সুদের হার। সাধারণত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ৫টি খাতে লোন নেওয়া সম্ভব।
অভিবাসন ঋণ ও পূর্ণবাসন ঋণ গ্রহণ করলে সর্বোচ্চ সুদের হার ৯% এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ গ্রহণ করলে সর্বোচ্চ সুদের হার মহিলাদের জন্য ৭% এবং পুরুষের জন্য ৯%। বিশেষ পূর্ণবাসন ঋণ গ্রহণ করলে সর্বোচ্চ সুদের হার ৪% ধার্য করা হবে।
যেকোনো সময় প্রবাসী কল্যান ব্যাংক এই নীতি পরিবর্তন করতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য যে সকল যোগ্যতা অর্জন করতে হবে সেগুলো হলোঃ
- অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
- প্রকল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখায় লোনের জন্য আবেদন করতে হবে।
- রাষ্ট্রদ্রোহী ও দেউলিয়া এবং মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিরা লোন নিতে পারবেনা।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ইতিপূর্বে গৃহীত ঋণ নিয়মিত হতে হবে।
- ২০২০ সালের ১ই জানুয়ারি দেশে ফিরে আসা অভিবাসী কর্মীরাও লোনের জন্য বিবেচিত হবেন।
- বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ প্রদুভাব মোকাবেলায় বিদেশ ফেরত প্রবাসীগন ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
- অন্য কোন সংস্থা বা ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ খেলাপির অভিযোগ থাকলে ঋণ পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে না।
- ঋণ খেলাপি নয় এমন প্রতারনপত্র আবেদনকারীকে দাখিল করতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই আবেদন ফরমের সাথে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করতে হবে। সাধারণত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ৫টি খাতে লোন সংগ্রহ করা যায়। উক্ত খাতগুলোতে লোন সংগ্রহের জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হলো।
অভিবাসন লোন সংগ্রহের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
সাধারণত প্রবাসীদের বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই লোন প্রদান করা হয়। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে যদি টাকার অসচ্ছলতা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে এ লোন গ্রহণ করতে পারেন। অভিবাসন লোন এর সুদের হার হল ৯%, ১-২ বছরের কিস্তিতে এই লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অভিবাসন লোন গ্রহণ করার যে সকল ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে সেগুলো হলোঃ
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড এবং পৌরসভা/ ইউনিয়ন কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিক সার্টিফিকেট ফটোকপি (সত্যায়িত)
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি রঙিন ছবি (সত্যায়িত)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ফটোকপি (সত্যায়িত)
- শারীরিক স্বচ্ছলতার মেডিকেল সার্টিফিকেট ফটোকপি (সত্যায়িত)
- বিএমআইটি কতৃক প্রদত্ত ইসুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর উভয় পাশের ফটোকপি (সত্যায়িত)
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট ফটোকপি (সত্যায়িত)
- স্ট্যাম্পে লিখিত ঋণ ফেরতের হলফনামা
- বিমানের টিকিট ক্রয়কৃত এজেন্সির দ্বারা তারিখ সহ সত্যায়িত ফটোকপি।
- বিমানের টিকিটের ফটোকপি (প্রয়োজন হতে পারে)
- জামিনদারের ভোটার আইডি কার্ড এবং পৌরসভা/ ইউনিয়ন কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিক সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট সাইজ ২ কপি রঙিন ছবি (সত্যায়িত)
- জামিনদারের যেকোনো ব্যাংক একাউন্টের ৩টি চেক পাতা।
পূর্ণবাসন লোন সংগ্রহের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
সাধারণত বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের জন্য পূর্ণবাসন লোন দেওয়া হয়। অনেকদিন বিদেশ থাকার পরে হঠাৎ করে দেশে এসে চাকরি পাওয়াটা খুব কষ্টকর এছাড়াও অনেকের বয়স বৃদ্ধি পায় যার ফলে চাকরি পাওয়াটা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। তারা চাইলে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে পূর্ণবাসন লোন গ্রহণ করতে পারে।
পুর্নবাসন লোন গ্রহনের পরে লোনের টাকা দিয়ে যেকোনো ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। পুরনোবাসন লোন এর সুদের হার হল ৯%, আবেদন ও কাগজপত্র জমা দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে লোনের টাকা হাতে পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে পূর্ণবাসন লোন সংগ্রহ করার জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে সেগুলো হলোঃ
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ইউনিয়ন কিংবা পৌরসভা থেকে প্রদত্ত নাগরিক সার্টিফিকেট (সত্যায়িত)
- আবেদনকারীর জীবন বৃত্তান্ত ও ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি রঙিন ছবি (সত্যায়িত)
- নিজের জমি হলে মালিকানা দলিল অন্যথায় জমি ভাড়া নিলে – ভাড়ার চুক্তিপত্র।
- জমির দলিল পত্র ফটোকপি (সত্যায়িত)
- যে ব্যবসায়ের জন্য লোন নেয়া চাচ্ছেন তার ঠিকানা এবং সম্পূর্ণ বিবরণ।
- নতুন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে আগামী দুই বছরের আয় ও ব্যয়ের বিবরণ অথবা পুরাতন ব্যবসা হলে গত দুই বছরের লাভ-লোকসানের বিবরণ।
- বিদেশ থেকে ফেরত সংক্রান্ত যাবতীয় ডকুমেন্টস এর ফটোকপি (সত্যায়িত)
- আবেদনকারীর কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটের ফটোকপি (সত্যায়িত)
- লোন ফেরতের হলফনামা।
- সামাজিকভাবে ও আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত দুইজন পরিচয় দানকারীর নাম ও ফোন নাম্বার এবং ঠিকানা।
- জামিনদারের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পৌরসভা/ ইউনিয়ন কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিক সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট সাইজ ২ কপি রঙিন ছবি (সত্যায়িত)
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন সংগ্রহের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
কোন ব্যক্তি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড পেয়ে চাকরি করার উদ্দেশ্যে বিদেশে অবস্থান করলে ঐ ব্যক্তির পরিবার বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন গ্রহণ করতে পারবে। বিদেশে চাকরিরত ব্যক্তির পরিবারের যেকোনো সদস্য ব্যবসা, কৃষিখাত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প যেকোন খাতে এই লোন গ্রহণ করতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা ব্যক্তির পরিবার লোন গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও এই লোন খুব সহজ শর্তে গ্রহণ করতে পারবে। এই লোন শুধুমাত্র ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড পেয়ে বিদেশে চাকরিরত আছে এমন ব্যক্তির পরিবারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে সেগুলো হলোঃ
- প্রবাসী ব্যক্তির অনুমতি পত্র।
- বিদেশে চাকরিরত ব্যক্তির প্রমাণ পত্র যেমন: ওই ব্যক্তির পাসপোর্ট বহির্গমন সিলযুক্ত পাতা ও ভিসা অথবা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি (সত্যায়িত)
- রেমিট্যান্স এর বিবরণী।
- আবেদনকারীর সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি ছবি ও আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পৌরসভা/ ইউনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিক সার্টিফিকেট ফটোকপি (সত্যায়িত)
- ব্যবসার হালনাগাদ ও ট্রেড লাইসেন্স (ব্যবসা থাকলে)
- জামানাতসহ লোনের জন্য জমির দলিল ও জমির পর্চা জমি সংক্রান্ত প্রমাণ পত্র ফটোকপি ও মূল কপি।
- জমিদারের ইউনিয়ন ও পৌরসভা কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিক সার্টিফিকেট এবং সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙিন ছবি (সত্যায়িত)
বিশেষ পূর্ণবাসন লোন সংগ্রহের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও যোগ্যতা
কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিশেষ পূর্ণবাসন লোন চালু করে। এই লোন কোভিড-১৯ ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী যারা এই মহামারীর কারণে দেশে ফিরে এসেছেন শুধুমাত্র তারা এই লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
অথবা যে সকল পরিবারের সদস্য বিদেশে কোভিড-১৯ এর কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন ঐ সকল পরিবার এই লোন গ্রহন করতে পারবে। বিশেষ পূর্ণবাসন লোন শুধুমাত্র ৪% সুদে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিশেষ পূর্ণবাসন লোন সংগ্রহের জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে সেগুলো হলঃ
- বাংলাদেশের বৈধ ও স্থায়ী নাগরিক এর প্রমাণপত্র (ভোটার আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন এর সত্যায়িত কপি)
- আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে চলমান কোন লোন থাকলে তা পূর্ণপরিশোধ হতে হবে।
- প্রবাসে থাকা ব্যক্তির পাসপোর্ট এর বহির্গাম এর সিলযুক্ত পাতা অথবা আগমন এর সিলযুক্ত পাতা সত্যায়িত ফটোকপি।
- বৈধ পথে বিদেশ ভ্রমণের প্রমাণপত্র এবং বৈধ পথে নিজ দেশের রেমিটেন্স প্রেরণের প্রমাণপত্র।
আত্মকর্মসংস্থান লোন সংগ্রহের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
প্রবাসীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরীর লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আত্মকর্মসংস্থান লোন প্রদান করে। আত্ম কর্মসংস্থান লোন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কি কি প্রয়োজন হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে এ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন অথবা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে জেনে নিতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হেল্পলাইন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হেল্পলাইন নাম্বার প্রধান কার্যালয়, হেল্প ডেস্ক: + ৮৮-০২-৪৮৩২২৮৭৩ অথবা ইমেইল করুন info@pkb.gov.bd এই ঠিকানায়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের জন্য অথবা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সম্পর্কে জানতে উক্ত নাম্বারে কল করুন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম ডাউনলোড করে এদিকে প্রিন্ট করে সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করুন। এরপরে আপনি কোন খাতে লোন গ্রহণ করতে চান সেটি নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যুক্ত করে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় আবেদন পত্রটি জমা দিন।
অথবা আপনারা সরাসরি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে লোন অফিসার এর কাছ থেকে ফরমটি সংগ্রহ করে তার পরামর্শ অনুযায়ী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। বিশেষ করে প্রবাসীদের জন্য এই ব্যাংক অনেক সুবিধা প্রদান করে।