বর্তমান সময়ে ঘরোয়া ব্যবসা খুব লাভজনক ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । ঘরোয়া ব্যবসা অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে শুরু করা যায় এবং এই ব্যবসায় ক্ষতির ঝুঁকি খুব কম থাকে । বর্তমানে বেকার যুবকরা এবং অনেক মহিলারা নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরীর লক্ষ্যে ঘরোয়া ব্যবসার দিকে নজর দিচ্ছে । আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হন যেমন হস্তশিল্প- হাঁস মুরগি পালন ইত্যাদি তাহলে আপনি খুব সহজে এইসকল ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। ঘরোয়া ব্যবসার মাধ্যমে আমরা নিজেদের মেধা ও পরিশ্রম কে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারব । আজকের লেখাটি তাদের জন্য যারা ঘরোয়া ব্যবসা করতে চাচ্ছেন লেখাটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন অল্প পুজিতে লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসা সম্পর্কে এবং ঘরোয়া ব্যবসার কিছু আইডিয়া সম্পর্ক ও অল্প পুঁজিতে লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসা সম্পর্কে ।
ঘরোয়া ব্যবসা কি
বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় হচ্ছে এই ঘরোয়া ব্যবসা বর্তমান বাংলাদেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে চাকরির খাত অনেকটা কমে গিয়েছে সেজন্য বর্তমানে বেকার যুবকরা নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি জন্য বিভিন্ন ব্যবসার পিছনে ছুটছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ঘরোয়া ব্যবসা । আপনি ঘরে বসে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বিভিন্ন মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো বিক্রি করে নির্দিষ্ট মুনাফা আয় করাকে আমরা ঘরোয়া ব্যবসা বলতে পারি ।
এই ব্যবসা আপনি একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে নির্দিষ্ট এরিয়ায় করতে পারবেন। আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার পণ্যগুলো ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন । ঘরোয়া ব্যবসা করার জন্য আপনার প্রথমে অল্প কিছু মুনাফা দিয়েই শুরু করতে পারবেন । কর্মসংস্থান তৈরির অন্যতম একটি উপায় হলো ঘরোয়া ব্যবসা করা ।
অল্প পুজিতে লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসা
অল্প পুজিতে লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসা হল হস্তশিল্প ব্যবসা বা হাঁস-মুরগি পালন এবং খাবারের ব্যবসা ইত্যাদি। এইসকল ব্যবসা গুলো আপনারা সাধারণত ঘরে বসে সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা করতে পারবেন। এই ব্যবসা গুলো করার জন্য সঠিক গাইডলাইন জানতে হবে এবং পরিশ্রমই হতে হবে।
উপরে উল্লিখিত এই ব্যবসা গুলো কিভাবে করবেন এবং লাভ কেমন হবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
ঘরোয়া ব্যবসা কিভাবে করবেন
ঘরোয়া ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনার অল্প কিছু টাকা মূলধন প্রয়োজন হবে । এবং যে কোন একটা বিষয় সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে আপনি যে বিষয়টা নিয়ে ব্যবসা করা চাচ্ছেন । আর একটা ব্যবসা শুরুর আগে অবশ্যই আপনার ওই ব্যবসা সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করতে হবে ।
পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজ শুরু করলে সেটা সঠিকভাবে সম্পন্ন করা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে বা সম্পূর্ণ করা যায় না । আর যেটা আপনার সবথেকে বেশি প্রয়োজন সেটা হল মেধা ও পরিশ্রম খাটানো । মনে করেন আপনি একটি পণ্য তৈরি করেন সেটা কিভাবে বিক্রি করবেন বা বাজারজাত করবেন সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করতে হবে ।
মনে করেন আপনি মাটির জিনিস পত্র তৈরি করা নিয়ে কাজ করবেন সে ক্ষেত্রে প্রথমে আপনার এসম্পর্কে রিচার্জ করে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে । তারপরে কি ব্যবসা সম্পর্কে আপনার পরিকল্পনা করতে হবে আপনি কিভাবে এগুলো তৈরি করবেন এবং সে গুলোকে কিভাবে বাজারজাত বা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিবেন এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করতে হবে।
এরপর আপনার মূলধন নিয়ে ব্যবসার জন্য যে সকল জিনিসপত্র প্রয়োজন সেগুলো ক্রয় করে বা জোগাড় করে নিতে হবে। ঘরোয়া ব্যবসা শুরুর পূর্বে আপনাকে সবকিছু ঠিক করে নিতে হবে । ঘরোয়া ব্যবসা সাধারণত দুই ভাবে করা যায়।
- অনলাইনের মাধ্যমে
- অফলাইনের মাধ্যমে
অনলাইনের মাধ্যমে ঘরোয়া ব্যবসা করার নিয়ম
আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরোয়া ব্যবসা করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার যা প্রয়োজন হবে সেটি হল । একটি মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন । মনে করেন আপনি একটি পণ্য উৎপাদন করছেন সেই পণ্যটি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে চান ।
তাহলে আপনার সর্বপ্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অ্যাকাউন্ট করতে হবে সেটি হতে পারে ফেসবুক একাউন্ট বা ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট ইত্যাদি যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে । এবং সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার পণ্যগুলো প্রচার করুন । এবং খুব ভালোভাবে আপনার পণ্যগুলো মার্কেটিং করুন ।
দরকার হলে আপনার পণ্যগুলো পোস্ট বুস্ট করুন যাতে ক্রেতাদের কাছে পণ্যগুলোর এডভারটাইসমেন্ট পৌঁছে যায় । এবং সেখান থেকে ক্রেতারা আপনার পণ্যটি পছন্দ করে অর্ডার দিবে এবং আপনি সেটা কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বা নিজে গিয়ে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিবেন ।
অফলাইনের মাধ্যমে ঘরোয়া ব্যবসা করার নিয়ম
অফলাইনে এর মাধ্যমে ঘরোয়া ব্যবসা করতে হলে আপনাকে সেই পণ্যটি কিভাবে বিক্রি করবেন সে সম্পর্কে জানতে হবে । ধরেন আপনি একটি পণ্য তৈরি করছেন এবং সেই পণ্যটি কিভাবে বাজারজাত করবেন । আপনি চাইলে নিজে দোকানে গিয়ে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন এবং কোন ডিলার বা দোকানদারের সাথে চুক্তির মাধ্যমে পণ্য গুলো তাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন ।
অফলাইনে এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করার সবথেকে সহজ প্রথমে আপনাকে শুধুমাত্র এই পণ্য নিয়ে যারা কাজ করে বা এই পণ্যর ডিলারদের সাথে কথা বলে তাদের সাথে চুক্তি করে নিতে হবে । আপনি খুব সহজে অফলাইনে ঘরোয়া ব্যবসা করতে পারবেন ।
অল্প পুজিতে লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসা আইডিয়া
যারা অল্প পুজিতে ঘরোয়া ব্যবসা করতে চান তাদেরকে সর্বপ্রথম নির্বাচন করতে হবে আপনি কি নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। এবং সেটা করতে আপনার কিরকম এমাউন্টের টাকা খরচ হতে পারে এবং আপনি পণ্যটা কত দ্রুত ও কত পারসেন্ট লাভে বিক্রি করতে পারবেন ও বাজারে পণ্যের চাহিদা কেমন সে সম্পর্কে প্রপার ধারণা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে । আপনি যদি এগুলোর সঠিক ভাবে নির্বাচন না করে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ।
অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া
যারা অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমরা কিছু ব্যবসা আইডিয়া তুলে ধরলাম । এই ব্যবসা গুলো করতে আপনাদের সামান্য কিছু পুঁজি প্রয়োজন হবে । সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য বলা হলো ।
খাবার বিক্রি
আপনি যদি ভালো খাবার তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন । খাবারের ব্যবসা আপনি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে দুই জায়গাতেই করতে পারবেন । আপনার রান্না ধরন যদি ভাল হয় এবং আপনি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য ।
এই ব্যবসাটি আপনি অল্প সামান্য পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারবেন এবং এর থেকে আপনি অনেক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন । বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে অনেক অনেক ফুড ব্লগার গ্রুপ আছে যেগুলোর মধ্যে আপনি আপনার তৈরি খাবারের রেসিপি গুলো ছবি তুলে শেয়ার করতে পারবেন ।
এখান থেকে যদি আপনার খাবার রেসিপি পছন্দ হয় তাহলে কাস্টমাররা আপনার কাছে খাবারের অর্ডার দিবে । এভাবে আপনি আপনার তৈরি খাবারের মার্কেটিং করতে পারবেন আশা করি এতে আপনার অনেক বেশি বিক্রি বাড়বে । এছাড়াও অনেক ফুড ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আছে যেগুলোর মধ্যে আপনি আপনার খাবারগুলোকে বিক্রি করতে পারবেন তারমধ্যে ।
- ফুড পান্ডা
- ফুড পিয়ন
- হাংরি নাকি
- পাঠাও
- ইত্যাদি ।
এবং অফলাইনে এর মাধ্যমে আপনি কোন হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর সাথে কথা বলে তাদের কাছে আপনার তৈরি খাবার গুলো বিক্রি করতে পারবেন । আপনি চাইলে নিজে ছোট একটি রেস্টুরেন্ট আপনার তৈরি খাবার গুলো বিক্রি করতে পারবেন ।
হাঁস মুরগি বা গবাদি পশু পালন
বর্তমান সময়ের লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে হাঁস-মুরগি গবাদি পশু পালন এই ব্যবসাটি অন্যতম । এই ব্যবসাটি ও আপনি অনলাইন বা অফলাইনের মাধ্যমে করতে পারবে । তবে এই ব্যবসাটি অফলাইনের মাধ্যমেই বেশি খ্যাত । এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে হাঁস-মুরগি বা গবাদি পশু পালন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে ।
এবং এর পিছনে আপনার সময় ও পরিশ্রম ব্যয় করতে হবে । হাঁস-মুরগি গবাদি পশু পালন ও তার সঠিকভাবে পরিচর্যা এবং এর স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে খেয়াল রাখা এর খাবারের দিকে নজর রাখা এগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে । আপনি যদি হাঁস মুরগির ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার প্রথমে ছোট ছোট হাঁস মুরগির ছানা ক্রয় করে সেগুলো কে পালন করে যথাযথ পরিচর্যা করে বড় করে তুলতে হবে ।
একসময় সেই হাঁস মুরগি গুলো ডিম দিবে এবং আপনি সেই দিনগুলো বাজারজাত করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন । প্রথম ধাপে হাঁস-মুরগির ডিম দেয়া শেষ হলে আপনি চাইলে সেগুলো কে বিক্রি করে দিতে পারেন কারণ দ্বিতীয় ধাপে দেয়া শুরু হতে অনেক সময় লাগবে সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আরো কিছু হাঁস মুরগির ছানা এনে সেগুলো কে লালন পালন করে বড় করে তুলতে পারবেন ।
আপনি যদি গবাদি পশু এর ব্যবসা করেন । গবাদিপশু বলতে আমরা বুঝি গরু ছাগল, মহিষ, ভেড়া, ঘোড়া, ইত্যাদি আপনি এগুলো দুইভাবে ব্যবসা করতে পারবেন প্রথম ভাবে আপনি এগুলো অল্প দামে কিনে একটু বেশি দামে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন । অথবা আপনি এগুলোকে বাচ্চা অবস্থায় ক্রয় করে সঠিকভাবে লালন পালন করে সেগুলো বড় করে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন ।
হস্ত শিল্প ব্যবসা
বড় ব্যবসার মধ্যে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হলো হস্তশিল্প ব্যবসা সাধারণত হস্তশিল্প বলতে আমরা বুঝি হাত দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করাকে । যেগুলো আমাদের সাংসারিক জীবনে প্রয়োজন হয় এছাড়া হস্তশিল্পের মালামাল আমরা আমাদের ঘরবাড়ি সাজাতে পারি যেমন কার্পেট, নকশি কাঁথা, সপিজ, হাড়ি পাতিল, কাপড়, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, কাঠের পুতুল বা কাঠের তৈরি জিনিসপত্র ইত্যাদি ।
এগুলো যদি আমরা তৈরি করতে পারে তাহলে এই ব্যবসাটি আমাদের । এই সকল জিনিসপত্র তৈরীর জন্য আপনাকে বুদ্ধি ধৈর্য ও পরিশ্রম খাটাতে হবে । আমরা সামান্য অল্পকিছু পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারি । এছাড়াও আপনি যদি এগুলো তৈরি সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আপনি একজন অভিজ্ঞ লোক রাখতে পারেন আপনার কাজের জন্য যে এগুলো তৈরি করবে । এগুলো তৈরি করে আপনি বাজারজাত করতে পারবেন এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে আপনি এগুলো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন । অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা
আমরা উপরে তিনটি ব্যবসার কথা আলোচনা করলাম এছাড়াও এধরনের আরো অনেক ঘরোয়া ব্যবসা আছে যেগুলো করে আপনি অল্প পুজিতে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন । ঘরোয়া ব্যবসার সুবিধা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করব এবং আপনি কিভাবে ব্যবসায় সফল হতে পারেন সে সম্পর্কেও আলোচনা করব ।
ব্যবসা করে সফল হওয়ার উপায়
আমরা উপরে এতক্ষণ ঘরোয়া ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করলাম এবং কিভাবে ঘরোয়া ব্যবসা করবেন সে সম্পর্কেও আলোচনা করছে এখন ঘরোয়া ব্যবসায় কিভাবে সফল হবেন সেটা জানা প্রয়োজন । ঘরোয়া ব্যবসায় সফল হতে হলে আমাদের তেমন কষ্ট করতে হবে না ঘরোয়া ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য যা যা করতে হবে
- বাজারের ডিমান্ড আছে এমন কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে হবে
- সব সময় ভালো পণ্য তৈরি করার চেষ্টা করব
- সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে হবে
- ক্রেতাদের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করতে হবে
- সঠিকভাবে লেনদেন করতে হবে
- খারাপ কোন পন্থা অবলম্বন করা যাবে না
ঘরোয়া ব্যবসা কিভাবে করে এই সম্পর্কে আলোচনা
ঘরোয়া ব্যবসা বলতে আমরা বুঝি নির্দিষ্ট স্থানে বসে অফলাইন কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে পণ্যগুলো ক্রেতাদের কাছে নির্দিষ্ট মুনাফায় বিক্রি করা । ঘরোয়া ব্যবসার কথা শুনলে প্রথমে আমাদের মাথায় আসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা পণ্য দ্রব্য সামগ্রী বিক্রির কথা ।
ঘরোয়া ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে বলতে হয় ঘরোয়া ব্যবসার সবথেকে বড় দিক হলো আমরা অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারি । যেমন ধরেন আপনার একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তৈরীর জন্য একটি বড় দোকান বা গোডাউন এর প্রয়োজন হবে – বর্তমান বাজারে আপনি যদি একটি দোকান বা গোডাউন ভাড়া নিতে চান তাহলে আপনার প্রতিমাসে ৫০০০-৫০০০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হতে পারে ।
ঠিক এই ব্যবসাটা আপনি যদি নিজের বাড়িতে বসে অনলাইন বা অফলাইনে এর মাধ্যমে করেন তাহলে আপনার এই টাকাটা সেইভ হবে । এছাড়াও বিভিন্ন ট্যাক্স এর খরচ আছে ঘরে বসে ব্যবসা গুলো করলে আপনার তেমন টাকা ট্যাক্স দিতে হবে না । বর্তমান সময়ে এজন্যই ঘরোয়া ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।