আচ্ছা ঘরে বসে কোন প্রাকৃতিক উপায় কি নিজের ত্বককে ফর্সা করা সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর হবে হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব। ঘরে বসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের আজকের এই লেখাটি, লেখাটির মাধ্যমে নিজের ত্বককে ফর্সা করার কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ঘরে বসে ফর্সা হওয়ার উপায়
ঘরে বসে ফর্সা হওয়ার উপায় হল টমেটো ব্যবহার। ২ চামচ টমেটোর সাথে ১ চামচ চালের গুঁড়া এবং ১ চামচ ফ্যাশনের গুড়া ও ২ চামচ তরল দুধ একসাথে মিশ্রন করে ত্বকে লাগালে দ্রুত আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হয়ে যাবে। ঘরে বসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
রাতারাতি নিজের ত্বককে ফর্সা করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বা মেডিসিন এর পরিবর্তে সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বককে ফর্সা করতে পারি। আমরা যদি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে নিজেদের ত্বককে ফর্সা করি তাহলে আমাদের ত্বকের কোন ধরনের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে ত্বক এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
ঘরে বসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের এই লেখাটি – লেখাটিতে আমরা নিজেদের ত্বককে ফর্সা করার কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এই পদ্ধতিগুলো যদি আপনারা সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে আমি আশাবাদী ১ মাসের মধ্যে আপনাদের ত্বকে অনেক পরিবর্তন দেখা দিবে এবং পূর্বের তুলনায় ত্বক অনেক ফর্সা হয়ে যাবে।
আমরা অবশ্যই জানি রাতারাতি কোন জিনিসই আমাদের উপকার বয়ে আনবে না, একটা প্রচলিত কথা আছে “বড়শির ডগায় সব সময় ফ্রিতে খাবার পাওয়া যায়” ঠিক তেমনি রাতারাতি কোন জিনিস আমাদের জন্য ভালো নয়। ঘরোয়া যে সকল পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো এগুলো দ্রুত আপনার ত্বককে পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
স্থায়ী ফর্সা হবার উপায়
নিজেদের ত্বককে যদি স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে চায় তাহলে অবশ্যই আমাদের প্রাকৃতিক উপায়ে নিজেদের ত্বককে ফর্সা করতে হবে। বর্তমানে অনেক নিম্নমানের ক্রিম আছে যেগুলো স্থায়ী ফর্সা হবার কথা বলে বিক্রি করা হয় কিন্তু ওই সকল ক্রিম গুলো আমাদের ত্বকে অনেক ক্ষতি করে। ক্রিম গুলো ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বককে পুড়িয়ে ফেলে যা ভবিষ্যতে আমাদের ভয়ঙ্কর রোগের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
কিভাবে সহজে চুল পড়া বন্ধ করবেন
তাই অবশ্যই আমাদের এই সকল নিম্নমানের ক্রিম থেকে দূরে থাকতে হবে আর রাতারাতি আপনি চাইলেও ফর্সা হতে পারবেন না। নিজেদের ত্বককে যদি ভেতর থেকে ফর্সা করতে চান তাহলে আপনাকে কিছুদিন সময় নিয়ে এই সকল ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। আমরা পূর্বেই জেনেছি যে রাতারাতি কোনো জিনিসই ভালো নয়।
যে জিনিসটা আমরা দ্রুত পেয়ে যায় সেটা বেশিদিন টিকে না – বা সেটাই আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে যায়। তাই আমরা যদি একটু কষ্ট করে একটু সময় নিয়ে ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হবার পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করি তাহলে এটাই আমাদের জন্য সবথেকে ভালো উপায় হবে।
ভেতর থেকে ফর্সা হবার উপায়
ভেতর থেকে যদি আপনার ত্বককে ফর্সা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হতে হবে। বাজারে যে নিম্নমানের ক্রিম গুলো পাওয়া যায় ওগুলো ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকে অনেক ক্ষতি হবে এমনকি ত্বক পুড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদের এই সকল ক্রিম গুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে।
ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা নিচে আলোচনা করেছি আপনারা যদি এই সকল পদ্ধতি গুলো সঠিক ভাবে অবলম্বন করেন তাহলে আশা করি ১ মাসের ভিতর আপনার ত্বকে অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। চলুন ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার পদ্ধতি গুলো জেনে নেয়া যাক।
টমেটো দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আমাদের ত্বকের জন্য টমেটো খুব উপকারী একটা ফল। টমেটো এবং আরো কিছু উপাদানের মিশ্রণে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে আমরা যদি আমাদের ত্বকে ব্যবহার করি তাহলে আশা করছি আমাদের ত্বক পূর্বের থেকে অনেকটা ফর্সা হয়ে যাবে। চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিতে টমেটো দিয়ে রূপচর্চা করার উপায়।
টমেটো দিয়ে ফর্সা হবার জন্য আপনার টমেটোর সাথে আরো কয়েকটি উপাদান মিক্স করতে হবে। উপাদানগুলো হলোঃ
- ২ চা চামচ টমেটো
- ১/২ চা চামচ চালের গুঁড়া
- ১ চা চামচ বেসন এর গুঁড়া
- ২ চা চামচ তরল দুধ
ত্বক ফর্সা এবং মসৃণ করার জন্য এই ফেসপ্যাকটি আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। উপরে আমরা যে উপাদান গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি এগুলো সঠিকভাবে একটা বাটিতে মিশ্রণ করে, ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে তারপর ভালোভাবে ত্বকে লাগিয়ে দিন। মিশ্রণটি ত্বকে শুকানোর পর ৫ মিনিট রেখে দিন – এরপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে করে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা হবে।
হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজের ত্বককে ফর্সা করার জন্য হলুদ অন্যতম একটি উপকারী জিনিস। বর্তমানে অনেক বিউটি পার্লারে ও হলুদ দিয়ে ত্বক ফর্সা করা হয়, নিজেদের ত্বক সুস্থ ও সবল রাখতে হলুদ গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। কিভাবে হলুদ ব্যবহারে নিজেদের চেহারা ফর্সা করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
হলুদ দিয়ে নিজেদের ত্বককে ফর্সা করার জন্য আপনাকে হলুদের সাথে আরও কয়েকটি উপাদান মিক্স করতে হবে উপাদানগুলো হলোঃ
- ১ চা চামচ বেসন গুঁড়া
- ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
- ১ চা চামচ মধু
- ২ চা চামচ দই
- ১/২ চা চামচ লেবুর রস
হলুদের এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বককে আরও ফর্সা ও মসৃণ করে তুলবে। হলুদের ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য উপরের উপাদানগুলো পরিমাণমতো একটা বাটিতে ভালোভাবে মিশ্রন করে নিন এবং আপনার ত্বকে ভালোভাবে ঘষে ঘষে লাগিয়ে দিন, এবং ফেসপ্যাক লাগানোর পরে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে সুন্দরভাবে মুখমন্ডল ধৌত করুন। আপনি যদি সপ্তাহে ৩-৪ দিন এভাবে হলুদের ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করেন তাহলে দ্রুত আপনার ত্বক পূর্বের থেকে অনেক ফর্সা ও মসৃন হয়ে যাবে। হলুদ ব্যবহারে আমাদের ত্বক আরো উজ্জল হয়ে উঠবে।
ত্বক ফর্সা করার আরও কয়েকটি নিয়ম
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
নিম পাতার উপকার সম্পর্কে আলোচনা করার কিছুই নেই, আদিম যুগ থেকেই নিমপাতা দিয়ে আমাদের শরীরের অনেক রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে এবং রূপচর্চায় নিমপাতা ব্যাবহার করা হচ্ছে। নিমপাতা হলো এমন একটি ঔষধি উদ্ভিদ যা মানুষের শরীরে অনেক রোগের ঔষধ হিসাবে কাজ করে তার মধ্যে একটা হলো ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে এবং কালো দাগ গুলো দূর করে।
নিম পাতা দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিজেদের ত্বককে আরও ফর্সা করবেন এবং ত্বকে থাকা কালো দাগ গুলো পরিষ্কার করবেন সে সম্পর্কে এই লেখা টি। নিমপাতা দিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে যা প্রয়োজনঃ
- ১ চা চামচ চালের গুঁড়ো
- ২ চা চামচ নিম পাতার রস বা পেস্ট
এই উপাদানগুলো একসাথে ভালো ভাবে একটা বাটিতে মিশিয়ে সপ্তাহে ৪-৫ দিন একই টাইমে যদি ব্যবহার করেন আশাকরি অতি দ্রুত আপনার ত্বকের কালো দাগ গুলো দূর হয়ে ত্বক আরো উজ্জল দেখাবে। ফেইস প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলুন।
নিম পাতা আমাদের মুখমন্ডল এর কালো দাগ দূর করার জন্য খুব উপকারী একটা উদ্ভিদ আমরা নিম পাতা দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে জেনেছি। নিম পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বক আরো সুন্দর ও মসৃণ হবে।
ফর্সা হওয়ার উপায়
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক জিনিস এর ব্যবহার ও ঘরে বসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। আমরা যদি নিজেদের চেহারা ফর্সা করার জন্য উপরের নিয়মকানুনগুলো সঠিকভাবে মেনে চলি তাহলে আশা করছি অতিদ্রুত চেহারার কালো দাগ দূর হয়ে চেহারা আগে থেকে অনেক ফর্সা হবে। আমরা সকলেই প্রাকৃতিক উপাদান এর গুনাগুন সম্পর্কে অবশ্যই যানি –
তাই আমাদের উচিত বাজারের এই সকল সস্তা ক্রিম গুলো ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে নিজেদের ত্বককে ফর্সা করার চেষ্টা করা। এতে আমাদের উপকার ছাড়া কোন ধরনের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই। রূপচর্চা সম্পর্কিত যদি অন্য কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন ধন্যবাদ সবাইকে।